শরীরে বিঁধছে এক এর পর এক গুলি আঁতঙ্কবাদীদের শেষ দেখে ছাড়লেন, কীর্তি চক্রে সম্মানিত 2 ভারতীয় সেনা.

এই বছর গণতন্ত্র দিবসের শুভ মুহূর্তে ভারতীয় দুই আলাদা আলাদা রেজিমেন্টের দুই বীর সৌনিক কীর্তি চক্রে পুরস্কৃত হলেন। আমরা অবশ্যই জানবো কোন মহৎ কর্মের জন্য এই দুই বীর সৌনিককে পুরস্কৃত করা হয়েছে। কিন্তু তার আগে এই দুই সৌনিকের বিষয়ে জেনে নিন।

এই দুই সৈনিক এর মধ্যে একজনের নাম হল মেজর শুভাং (Major Shubhang) আরেকজনের নাম হল নায়েক জিতেন্দ্র সিং (Naik Jitendra Singh) । মেজর শুভং ভারতীয় সেনাবাহিনীর ডোগরা রেজিমেন্টের এবং নায়েক জিতেন্দ্র রাজপুত রেজিমেন্টের অংশ।

দুই নায়কই এ বছর কীর্তি চক্রে ভূষিত হয়েছেন। উভয়েই জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। গত এক বছরে তারা দুজনই অনেক সন্ত্রাসীকে আশ্রয় দিয়েছে। সেনাবাহিনীর উদ্ধৃতিতে তার সাহসিকতাকে ইস্পাতের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।

মেজর শুভাং এর কাহিনী

গতবছর এপ্রিল মাস বাগডাম এর একটি গ্রামে আতংবাদি লুকিয়ে থাকার খবর মেজর শুভাং এর কাছে এসে পৌঁছায়। তৎক্ষণাৎ তিনি 62 তম রাষ্ট্রীয় রাইফেলের বেশকিছু সদস্যের একটি টিম বানিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে যান।

দু’দিক থেকে গুলির বৃষ্টি হচ্ছিল। মেজর শুভাঙ্গের কাঁধে গুলি লাগে। তা সত্ত্বেও তিনি অদম্য সাহস দেখিয়ে একজন সন্ত্রাসীকে হত্যা করেন। মেজর শুভাঙ্গের উদ্ধৃতিতে সেনাবাহিনী লিখেছে, মেজর ও সন্ত্রাসীর মধ্যে দূরত্ব ১০ মিটারও ছিল না। দ্বিতীয় সন্ত্রাসী ক্রমাগত সেনাদের দিকে গুলি চালাচ্ছিল। আহত অবস্থায় মেজর শুভং হামাগুড়ি দিয়ে তার দিকে এগিয়ে আসেন।

মেজর শুভাং-এর আন্দোলনের কারণে সন্ত্রাসী পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। চারদিক থেকে ঘেরা এই সন্ত্রাসীকে হত্যা করে সেনাবাহিনী। মেজর শুভং মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন, তবুও তিনি তার আহত কমরেডদের সরিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত তাকে উদ্ধার করা হয়।

নায়েক জিতেন্দ্র সিং এর কাহিনী

নায়ক জিতেন্দ্র সিংকে সন্ত্রাসীদের কাল বললে ভুল হবে না। নায়েক জিতেন্দ্র 2021 সালের ডিসেম্বরের পর তিনটি ভিন্ন অপারেশনের নির্দেশ দেন। এতে সাত সন্ত্রাসী নিহত হয়। 2022 সালের এপ্রিলে, নায়েক জিতেন্দ্র সিং পুলওয়ামায় একটি এনকাউন্টারের সময় গুরুতরভাবে আহত হন। তা সত্ত্বেও তিনি দুই সন্ত্রাসীকে হত্যা করেন। সহকর্মী জওয়ানরা তাকে অজ্ঞান অবস্থায় এনকাউন্টার সাইট থেকে উদ্ধার করে।

74তম প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু মোট 412টি বীরত্বের পুরস্কার অনুমোদন করেছিলেন। এর মধ্যে 6 জন কীর্তি চক্র এবং 15 জন শৌর্য চক্র পেয়েছেন। এ ছাড়া ৯২টি সেনা পদকও দেওয়া হয়।

Leave a Comment