বাংলা শস্য বীমা (BSB): ফসলের ক্ষতিপূরণ দেবে বাংলার সরকার, নিশ্চিন্তে করুন চাষ বাস

আপনার নিজের জমিতে চাষ করা ফসলের কি ক্ষতি হয়েছে ? আপনি কি এই ফসলের ক্ষতির জন্য শস্য বীমা করতে চান, তাহলে আপনি ঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আজকে আমরা এই পোস্টে বাংলা শস্য বীমা (BSB) কিভাবে করবেন, কারা কারা এই শস্য বীমা করার জন্য উপযুক্ত এবং কি কি ডকুমেন্টস লাগবে এই ফর্মটি ফিলাপ করতে এবং কোথায় আপনারা এই বাংলা শস্য বীমা (BSB) ফর্মটি জমা দেবেন সবকিছু আমরা এখানে ভালোভাবে আলোচনা করেছি।

পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের কৃষকদের জন্য একটি নতুন প্রকল্প চালু করেছে, যার নাম হলো “বাংলা শস্য বীমা যোজনা”। ভারতের এগ্রিকালচার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি (AIC) এর সহযোগিতায় ২০১৯ সালে চালু করা হয় এই বাংলা শস্য বীমা স্কিম। বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পের সুবিধা পেতে কৃষকদের কোনো রকম প্রিমিয়ামের টাকা দিতে হবে না। এটি ইউনাইটেড ইন্ডিয়া ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির দ্বারা জারি করা কৃষকদের জন্য শস্য বীমা প্রকল্পের জন্য একটি আবেদন যা কোনো কারণে কোনো কৃষকের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হলে, তারা তাদের ফসলের ক্ষতিপূরণ পাবে এবং এই ফসলের মধ্যে রয়েছে- খাদ্য শস্য (শস্য, বাজরা এবং ডাল), বার্ষিক বাণিজ্যিক/ উদ্যান ফসল (পাট, আলু এবং আখ) এবং তৈলবীজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কৃষকদের হয়ে রাজ্য সরকার বাংলা শস্য বীমার প্রিমিয়াম বহন করবে।

বেশ কিছুদিন হল আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে খারিফ শস্যের ক্ষতির জন্য বাংলা শস্যবীমা ফর্ম জমা চালু করা হয়েছে। বাংলা শস্য বীমা (BSB) রেজিস্ট্রেশন এবং আবেদন প্রক্রিয়া এই বছর ২০২৩ সালের জন্য চালু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। কৃষকরা অনলাইন বা অফলাইনে আবেদন করে এই প্রকল্পের দ্বারা সুবিধা পেতে পারেন। এখানে আমরা এই প্রকল্পে আবেদন করার জন্য কি কি যোগ্যতার লাগবে, কি কি ডকুমেন্টস লাগবে এবং কোথায় ফরমটি জমা দেবেন, সবকিছু উল্লেখ করেছি।

বাংলা শস্য বীমা (BSB) পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা

  1. আবেদনকারী কৃষককে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে।
  2. কৃষককে অবশ্যই কোন রেজিস্টার ব্যাংক বা কোনরকম সরকারি ইনস্টিটিউশন থেকে লোন নিয়েছে এমন হতে হবে।
  3. যেসব কৃষকরা কোন ব্যাংক থেকে কখনোই লোন নেননি তারাও এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন।
  4. আবেদনকারী কৃষকের নিজের নামে জমি থাকতে হবে।
  5. আবেদনকারী কৃষক ব্যাংক থেকে কোন লোন নিয়ে না দিয়ে থাকে এমনটা হওয়া চলবে না।
  6. প্রকল্প অনুসারে, আবেদনকারী কৃষক ফসলের ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার পরেই বীমার কভারেজ পাবেন, তাই সুবিধাভোগীকে নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতির যথাযথ প্রমাণ/নথি জমা দিতে হবে।

বাংলা শস্য বীমা (BSB) পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট

  1. আবেদনকারী কৃষকের এড্রেস প্রুফ হিসাবে প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড বা আধার কার্ড লাগবে।
  2. ব্যাংকের একাউন্ট ডিটেলস লাগবে।
  3. একটি পাসপোর্ট সাইজের ফটোগ্রাফ লাগবে।
  4. আবেদনকারীর সই লাগবে।
  5. আবেদনকারীর জমির ডকুমেন্টস দিতে হবে।
  6. জমিতে কি ধরনের ক্ষতি হয়েছে তার একটি ডকুমেন্ট দিতে হবে।

বাংলা শস্য বীমা (BSB) এর ফর্মটি কোথায় জমা দেবেন?

বাংলা শস্য বীমা (BSB) পাওয়ার জন্য আবেদনকারী কৃষক অনলাইনে তার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলি এবং ফর্ম পূরনের পর আপলোড করে আবেদন করতে পারে, বা আবেদনকারী কৃষক তার নিকটবর্তী ব্লকে গিয়ে সেখানে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলি জেরক্স করে ফরম ফিলাপ করে সেখানে আবেদন করতে পারে।

আমরা আশা করছি যে এই পোস্টটি পড়ে আপনি বাংলা শস্য-বীমা সম্পর্কে জানলেন, কিভাবে আবেদন করতে হবে সেটাও জানলেন, আবার কি কি ডকুমেন্টস লাগবে এবং কোথায় আবেদন করতে হবে তা আপনি বুঝতে পারলেন। যদি এই পেজটি ভালো লাগে তাহলে নিচে দেওয়া ক্লিক বোতামটি ক্লিক করে শেয়ার করতে পারেন।

Leave a Comment