বিদ্যাসাগর স্কলারশিপ ২০২২ অনলাইন আবেদন | Vidyasagar Scholarship Online Apply 2022

বন্ধুরা, আজ আমরা বিদ্যাসাগর স্কলারশিপ ২০২২ (Vidyasagar Scholarship 2022) সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। কোনো রকম নম্বর পার্সেন্টেজ ছাড়াই বিদ্যাসাগর স্কলারশিপ এ আবেদন করতে পারবেন অর্থাৎ পাশ করলেই এই স্কলারশিপে আবেদন করতে পারবেন। এই স্কলারশিপ গত বছর খুবি পপুলারিটি পেয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবারের যেসমস্ত ছাত্রছাত্রীরা পশ্চিমবঙ্গের কোন একটি সরকার স্বীকৃত বিদ্যালয়ে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়াশোনা করছে তারা এই স্কলারশিপ জন্য আবেদন করতে পারবে।বিশেষ দ্রষ্টব্য স্কলার্শিপ এর ক্ষেত্রে কোন নম্বর বিভাজন এর উল্লেখ করা হয়নি তাই বলা যেতে পারে সবাই এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবে।

বিদ্যাসাগর স্কলারশিপে অষ্টম শ্রেণীতে পড়া ছাত্র-ছাত্রীরা ১২০০ টাকা, নবম শ্রেণীতে পড়া ছাত্র-ছাত্রীরা ২৪০০ টাকা, দশম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা ৩৬০০ টাকা, একাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা ৪৮০০ টাকা এবং দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা ৬০০০ টাকা করে প্রতি বছর পাবে।

বিদ্যাসাগর স্কলারশিপ ২০২২
বিদ্যাসাগর স্কলারশিপ ২০২২

আজকে আমরা এখানে বিদ্যাসাগর স্কলারশিপ ২০২২ (Vidyasagar Scholarship 2022) এর এলিজিবিলিটি বা যোগ্যতা, কি কি ডকোমেন্ট বা নথি লাগবে এবং কিভাবে আবেদন করবে তা নিয়ে আজকের আলোচনা করবো।

যোগ্যতা:

  1. শিক্ষার্থীকে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়তে হবে।
  2. শিক্ষার্থীকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
  3. শিক্ষার্থীর বাড়ির পারিবারিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকার কম হতে হবে।
  4. শিক্ষার্থীকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে, এমনটা নয় যে গত বছর পরীক্ষায় পাশ করেছে এই বছর এডমিশন নেয়নি তা করলে হবে না, আবেদনকারী শিক্ষার্থিকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে।

প্রয়োজনীয় ডকমেন্টস বা নথি:

  1. শিক্ষার্থি এবং অভিভাবকের আধার কার্ডের ফটোকপি/জ্জেরক্স।
  2. শিক্ষার্থীর বর্তমান রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ফটোকপি।
  3. আগের ক্লাসের মার্কশিটের ফটোকপি।
  4. বার্ষিক পারিবারিক আয় এর শংসাপত্র।
  5. ব্যাংক একাউন্টের পাশবুক এর ফটোকপি।

আমরা এই পেজের নিচে একটি লিংক দিয়ে দেবো ওখান থেকে ফর্মটি ডাউনলোড করে নেবেন।এই স্কলারশিপের জন্য অফলাইনে আবেদন করতে হবে, অনলাইনে আবেদন করা যাবে না।

কিভাবে ফর্ম ফিলাপ করবেন?

প্রথম আপনাকে নিচে দেওয়া লিংক থেকে ফর্মটি ডাউনলোড করে প্রিন্টআউট করতে হবে। প্রিন্টআউট করার পর ফর্মটি ফিলাপ করে উপরের যেই ডকমেন্ট বা নথিগুলো বললাম তার ফটোকপি যোগ করেফর্মের বামদিকের উপরে দেওয়া ঠিকানায় পোস্ট করে দিতে হবে ২৮/০২/২০২২ তারিখের মধ্যে।

আসুন এবার বলি কিভাবে ফর্মটি ফিলাপ করবেন:-

ফর্মটির প্রথমে লেখা আছে অ্যাপ্লিকেশন ফর ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কলারশিপ 2022, ঠিক তার নিচে বাম দিকে আছে যে ঠিকানায় আপনি চিঠি পাঠাবেন এবং তার নিচে আছে ক্যান্ডিডেট’স ডিটেলস।

ক্যান্ডিডেট’স ডিটেলস এর নিচে প্রথমে আছে নাম অফ ক্যান্ডিডেট অর্থাৎ শিক্ষার্থী নাম লিখতে হবে, তারপর আছে আধার নম্বর অর্থাৎ আধার কার্ডের নম্বর লিখতে হবে, তারপর আছে ডেট অফ বার্থ জন্মতারিখ লিখতে হবে এবং তার পাশেই আছে জেন্ডার: মেল/ফিমেল, সেটির উপর টিক চিহ্ন দিয়ে দিতে হবে।

ক্যাটাগরি:জেনারেল,ওবিসি,এস.সি, এস.টি ; আপনার প্রয়োজন মত টিক চিহ্ন দিয়ে দিবেন, তারপর আছে শিক্ষার্থী কোন ক্লাসে পড়াশোনা করে: এইট, নাইন, টেন, ইলেভেন-আর্টস,কমার্স,সাইন্স এবং টুয়েলভ-আর্টস, কমার্স,সাইন্স। শিক্ষার্থী যেই শ্রেণীতে পড়াশোনা করে তার উপর টিক চিহ্ন দিয়ে দিতে হবে।

স্কুল নেম উইথ ফুল এড্রেস অর্থাৎ প্রথম স্কুলের নাম যেটি সেই নামটি লিখে নিতে হবে তারপর স্কুলের ঠিকানা লিখে দিতে হবে, তারপর আছে পিন নাম্বার অর্থাৎ, স্কুলের পিন নম্বরটিও লিখা নিতে হবে, শিক্ষার্থী লাস্ট পরীক্ষায় কত পার্সেন্ট নাম্বার পেয়েছেন সেটি লিখতে হবে।

এরপর, শিক্ষার্থীর মোবাইল নাম্বার লিখে নিতে হবে, হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার যদি থাকে তাহলে দিতে পারেন এবং ঠিক তার নিচে আছে হোম এড্রেস অর্থাৎ শিক্ষার্থীর বাড়ীর ঠিকানাটি লিখে নিতে হবে এবং তার সাথে পিন নম্বরটি লিখা নিতে হবে।

এরপর নিচে আছে ফাদার্স নেম অর্থাৎ শিক্ষার্থীর বাবার নাম লিখতে হবে, বাবা কি করেন তাও লিখতে হবে এবং তার নিচে আছে এনুয়াল ইনকাম অর্থাৎ, শিক্ষার্থীর বাবার বাৎসরিক আয় কত তা লিখতে হবে।

এরপর, আছে মাদার্স নেম অর্থাৎ, শিক্ষার্থীর মায়ের নাম এবং তার মা কি করেন সেটা লিখতে হবে, তার নিচে আছে এনুয়াল ইনকাম অর্থাৎ, শিক্ষার্থীর মায়ের বাৎসরিক আয় কত তা লিখে নিতে হবে।

এরপর লেখা আছে কি কি ডকুমেন্টস লাগবে অর্থাৎ শিক্ষার্থীর গত বছরের পরীক্ষার মার্কশিট এর জেরক্স, আধার কার্ড অর্থাৎ, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকের আধার কার্ডের জেরক্স, শিক্ষার্থীর অই এর শংসাপত্র, শিক্ষার্থীর বর্তমান পাসপোর্ট সাইজের ফটো এবং ব্যাংকের পাস বই এর ফটোকপি লাগবে।

বামদিকে নিচে আছে ফটো অ্যাটেস্টেড বায় হেডমাস্টার আর হেডমিস্ট্রেস অর্থাৎ শিক্ষার্থীর বর্তমান ফটোকপি লাগিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকার স্বাক্ষর এবং ডেট দ্বারা অ্যাটেস্টেড করে নিতে হবে।সবশেষে সিগনেচার অফ এপ্লিকেন্ট উইথ ডেট অর্থাৎ, শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর তার সাথে ডেট লিখতে হবে।

এখানে সঠিক ভাবে সবকিছু করার পর এই ফর্ম তার সাথে প্রয়োজনীয়া ডকুমেন্টস অর্থাৎ নথির জেরক্স দিয়ে একটি খামের মধ্যে পুরে দিতে হবে। ফর্মের উপরে যেই ঠিকানা ছিলো সেই ঠিকানাটি চিঠি খামটির উপরে লিখে নিতে হবে।

এরপর চিঠি খামটির পিছনে আপনার অর্থাৎ, শিক্ষার্থীর নাম সহ বাড়ির ঠিকানাটি লিখে নিতে হবে। এই চিঠিটি স্পিড পোস্টার মাধ্যমে পাঠিয়ে দিতে হবে। চিঠি পাঠানোর ১৫ দিন থেকে ১মাসের মধ্যে আপনার ব্যাঙ্ক একউন্টে চলে আসবে।

বন্ধুরা, আমি আশা করছি এই পেইজটি আপনার খুব ভালো লেগেছে অথবা আপনার কাজে সম্পূর্ণ সাহায্য করেছে। আপনি ইচ্ছে করলে এই পেজটি শেয়ার করতে পারেন।

Leave a Comment